দক্ষিণ কোরিয়ার বুলগুকসা (Bulguksa) টেম্পল ভ্রমণ

পোস্ট করা হয়েছে: ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০২২
লেখকঃ জুলহাস সুজন

গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর, আমরা দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের শিল্প, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ২ দিনের সফরের বুলগুকসা (Bulguksa) টেম্পলে গিয়েছিলম। টেম্পলটি সোল্ শহর থেকে ২৮৮ কিলোমিটার উত্তরে গুনজু শহরে অবস্থিত। এটি UNESCO এর একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এবং প্রায় ১৫০০ বছরের পুরুনো। এতো পুরুনো একটি স্থাপনার পড়তে পড়তে বৌদ্ধ ধর্মের সকল নিদর্শন লক্ষ্যণীয়। টেম্পলটিকে সিলা রাজ্যের বৌদ্ধ শিল্পের স্বর্ণযুগের একটি মাস্টারপিস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আসলে কোরিয়ার শিল্প ও সংস্কৃতির ইতিহাস প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরুনো।

Bulguksa Temple


যা জানলাম তাতে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে মানব জীবন দুঃখ এবং পুনর্জন্মের একটি চক্র। তবে কেউ যদি এমন পর্যায়ের জ্ঞান আহরণ করেন যা দুঃখ এবং দুর্দশা থেকে নির্বাণ লাভ করতে সাহায্য করবে। সিদ্ধার্থ গৌতমই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই জ্ঞানের রাজ্যে পৌঁছেছিলেন এবং যিনি বৌদ্ধ নাম পরিচিত। বৌদ্ধরা কোনো ধরনের দেবতা বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। যে কেউও বৌদ্ধ হতে পারেন যদি তিনি পাঁচটি উপদেশ শতভাগ মেনে চলেন, যেমন হত্যা করা যাবে না, চুরি করা যাবে না, শারীরিক নির্যাতন বা দুর্ব্যবহার করা যাবে না, মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকা এবং মাদক গ্রহণ না করা।

Bulguksa Temple


বৌদ্ধধর্মের দুটি প্রধান দল রয়েছে, একটি মহাযান এবং অন্যটি থেরবাদ। মহাযান বৌদ্ধধর্ম তিব্বত, চীন, তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়া এবং মঙ্গোলিয়ায় প্রচলিত এবং থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্ম শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, লাওস এবং মায়ানমারে চৰ্চা হয়।

Bulguksa Temple


এখন হাজারো প্রশ্ন নিজের কাছে যে ৯০ ভাগ বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমারে এখন কি চলছে? তারাতো ৫টি উপদেশের কিছুই মানে না। লক্ষ্য লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে অন্তহীন দুর্দশায় আমাদের ঠেলে দিয়েছে। এটি অতন্ত্য জঘন্য এবং নিন্দনীয়। কয়েকদিন আগে আমার টিমে একজন মেয়ে মায়ানমার থেকে জয়েন করেছে। তার ভাষ্য মতে সেখানে অসম্ভব খারাপ পরিস্থিতি এবং সেকারণে সে দেশ ছেড়ে চলে এসেছে। আসলে ধর্মকে পুঁজি করে সেখানে ক্ষমতাসীনরা তাদের স্বার্থ হাসিলে মগ্ন অন্যদিকে বিশ্ব রাজনীতির মারপ্যাঁচে আমরা মিলিয়ন রোহিঙ্গা নিয়ে পড়েছি চরম বিপাকে যা আমাদের ইতোমধ্যে ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে।

আমার বিস্বাস আমরা সবাই একদিন অহিংস পথে নবযাত্রা করবো।

শিলা রাজ্যের রানীর সাথে:

Bulguksa Temple


যে গ্রামে রাতে ছিলাম:

Bulguksa Temple


আমরা ভাই-বোন:

Bulguksa Temple


টেম্পল ড্রেস পরিহিত অবস্থায়:

Bulguksa Temple


রেফারেন্স: 

১) https://education.nationalgeographic.org/resource/buddhism
২) গুগল 
৩) https://www.mcst.go.kr/english/
৪) https://en.wikipedia.org/wiki/Bulguksa
									
[এই আর্টিকেলটি কপি বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে আমার এই সোর্সকে মেনশন করার জন্য অনুরুধ করা হলো। ]

[ রেফারেন্স: জুলহাস সুজনের ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে - www.julhas.com/travelling/bulguksa-temple ]