দক্ষিণ কোরিয়াতে আসার পর থেকে বার বার মনে হতো এতো উন্নত দেশের গ্রাম দেখতে কেমন হয়! ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের শিল্প, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সোল্ শহর থেকে ১৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডোনামসিওন কনফুসিয়ান একাডেমিতে (Donamseowon Confucian Academy) গিয়েছিলাম, যা ১৬৩৪ সালে নির্মিত হয়েছে। এটি টোঙ্গা গ্রামের কাছে অবস্থিত। এই গ্রামে একরাত ছিলাম যার অভিজ্ঞতা চিরকাল মনে থাকবে।
১৬৬০ সালে একাডেমীটি রাজকীয় সনদ লাভ করে এবং এটি মূলত সিওনের প্রধান ফটক, ইপডিওকমুন গেট, তিনটি প্রবেশদ্বার দিয়ে তৈরি। সিওওনের অভ্যন্তরে একটি টেম্পলে চারজন বিশিষ্ট পণ্ডিতের পূর্বপুরুষের স্মৃতি চিহ্ন (ট্যাবলেট বলে) রয়েছে যারা এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং তারা হলেন কিম জাং-সেং, কিম জিপ, সং জুন-গিল এবং সং সি-ইওল। কিম জ্যাং-সেং এবং তার শিক্ষা প্রদানকারী একাডেমিগুলির মধ্যে ডোনামসিওনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। এটি UNESCO এর একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ।
কিম জাং-সেং একজন মহান কনফুসিয়ান পণ্ডিত ছিলেন যিনি ইয়ুলগোকের বৃত্তির উত্তরসূরি করেছিলেন এবং গিহো কনফুসিয়ান স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কনফুসিয়ানিজম অধ্যয়ন এবং তার অনুসারীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
একটি সংকৃতি সন্ধ্যায় আমাদের দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত গান পরিবেশন করা হয়। এই খুদের পারফরম্যান্সে আমরা মুগ্ধ।
কালিওগ্র্যাফি শিখছিলাম:
পাকা টসটসে Persimmon পারছিলাম:
দুপুরে খাবার খাচ্ছিলাম:
রাতের মনোমুগ্ধকর সংকৃতি সন্ধ্যা:
[এই আর্টিকেলটি কপি বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে আমার এই সোর্সকে মেনশন করার জন্য অনুরুধ করা হলো। ]
[ রেফারেন্স: জুলহাস সুজনের ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে - www.julhas.com/travelling/donamseowon-confucian-academy ]